লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পোস্ট পাঠক ভাইয়েরা আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের খুবই পরিচিত এই জিনিসটি তবে আমরা অনেকেই জানিনা এটার নিয়ম বা লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা তো চলুন আজকে আপনাদেরকে এই সম্পর্কে কিছু ধারনা দেই আমরা যারা জানতে এসেছি যে লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এই সম্পর্কে।
লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তারা পোস্টটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়বে এবং এই পোস্টটি আপনারা যা জানতে এসেছেন মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন না করা পর্যন্ত পড়লে আপনারা কিছুই বুঝতে পারবেন না তাই আপনারা যে সম্পর্কে জানতে এসেছেন তা জানার জন্য পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তেই থাকুন

ভূমিকা

লেবু (সাইট্রাস লিমন) কথাটি শুনলেই আমাদের পরেক ক্ষনই আমাদের মনে পরে যায় কমলার মতো উপবৃত্তাকার সবুজ হলদে রং এর একটি ফল। যেই ফলটি হলো আমাদের সবার অতন্ত্য প্রিয়। আমরা সকলেই কম বেশি এই ফলটি খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা কি জানি যে এই ফলটি খেলে আমাদের কি কি উপকার হবে। না জানলে চলুন আজকে জেনে নেই লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি।

লেবু খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত গরম এলে আমারা সবাই কম বেশি লেবু পানি পান করে থাকি যাতে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকে। তবে আমরা সবাই কি লেবু পানি বানাতে পারি চলুন আজকে আমরা জানবো কিভাবে লেবু পানি বানতে হয়।লেবু খাওয়ার নিয়ম লেবু পানি বানানোর জন্য প্রথমে আমরা একটি গ্লাস ভরে ঠান্ডা পানি নিবেন।এর ভালো দেখে একটি লেবু নিবেন।
যেটি হবে পরিপূর্ণ ভাবে পাকা ও হলদে রং এর এবং পরিপূর্ণ ভাবে পরিস্কার। লেবুটি কেটে নিবেন এবং হাত দিয়ে চাপ দিয়ে লেবুর রস একটি গ্লাসে নিবেন। লেবুর রসে সমান্য পরিমানে লবন দিতে পারেন। লেবু পানি সুস্বাদু মজার করার জন্য চিনি ও মিশাতে পারেন।লেবু খাওয়ার নিয়ম এর পর চামচ দিয়ে ভালো ভাবে মিশে নিতে হবে। এ ভাবেই তৈরি হয় লেবু পানি।

লেবু পানি কখন খাওয়া উচিত

আমরা সবাই লেবু বা লেবুর পানি খাওয়া পছন্দ করি কিন্তু আমরা জানি না এটা কখন খাওয়া উচিত তাই আমরা জেনে নেব যে লেবু পানি কখন খাওয়া উচিত আপনারা কি জানেন লেবু পানিতে পটাশিয়া রয়েছে। লেবু পানিতে পটাশিয়াম থাকার কারণে লেবু পানি দিনপর শুরুতে খেতে হয়। দিনের শুরুতে লেবু পানি পান করলে আমাদের শরীরের কিছুটা পটাশিয়াম এর অভাব পূরণ করতে পারে।

আমাদের উচিত প্রতি দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস করে লেবু পানি খাওয়া। তা ছারা প্রতি দিন সকালে কুসুম গরম পানিতে লেবু পানি পান করলে বেস ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। আজকে আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে জানতে পারলাম লেবু পানি কখন খাওয়া উচিত ।

সকালে লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের অনেকেরই সকাকে ঘুম থেকে উঠে কিছু না কিছু খাবার অভ্যাস আছে।সকালে লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা কেউ চা কেউ কফি আমার কেউ কেউ হালকা নাস্টা করে থাকি আবার কেউ লেবু পানি খেয়ে থাকি।কিন্তু আমরা কি জানি যে সকালে লেবু পানি খেলে আমাদের শরীরে কি উপকার হয়। আপনি কি জানেন যে প্রতি দিন সকালে হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবু পানি পান করলে পেটের মেদ কমাতে লেবুর রস সাহায্য করে।

আবার প্রতি দিন সকালে হালকা গরম পানিতে লেবু পানি পান করলে এটি গ্যাস্টিক এর সমস্যা ও কমাতে সাহায্য করে।অনেকেই লেবু পানি খেগে পছন্দ করে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে অনেক চাকরি জীবি বা কৃষি জীবি আছে যারা গরমের ভিটির কাজ করে কিন্তু বাসার ফিরে তারা লেবু পানি খেলে সব ক্লান্তি দুর হয়ে যায়।লেবু পানি খাওয়াতে আমাদের অনেক উপকার হয়ে নাকে। এটাই ছিল আমাদের সকালে লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা ।

ঠান্ডা পানিতে লেবু রসের উপকারিতা

ঠান্ডা পানিতে লেবু রস মিশিয়ে খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার আনতে পারে আজকে আমরা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।ঠান্ডা পানিতে লেবু রসের উপকারিতা আমরা জানি যে লেবু হচ্ছে একটি ঔষধি ফল যা আমাদের বিভিন্ন উপকার করে থাকে।প্রায় শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কাজে লাগে লেবু। লেবুর রস ছারা লেবু খোসা ও আমাদের কাজে বাব্যহার হয়ে থাকে। আমরা যা রা সাধারণত প্রতি দিন ঠান্ডা পানির সাথে লেবুর রস পান করে থাকি। আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়ে থাকে।ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা ও বাড়ে।
লেবুর পানিতে রয়েছে ভিটানি সি জাতীয় পর্দাথ যা আমাদের শরীরে হজম শক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। আমরা জানি যে লেবু পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এসিড যা সাধারণত আমাদের হজম নালি ভাল রাখে।ঠান্ডা পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে আমাদের শরীর হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। লিভার এর কার্যকম ঠিক রাখে। তাই আমরা বলতে পারি যে প্রতি দিন ঠান্ডা পানির সাথে লেবুর রস খাওয়া অনেক উপকার।ঠান্ডা পানিতে লেবু রসের উপকারিতা জানলাম

অতিরিক্ত লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

লেবু (সাইট্রাস লিমন) কথাটি শুনলে মনে পরে যায় সেই কমলার মতো দেখতে সবুজও হলদে রং এর উপবৃত্তাকার একরি জনপ্রিয় ফল। এই ফলটি তে রয়েছে ভিটামিন সি এসকরবি সেপটিকের বিভিন্ন ধরনের উপাদান। আসুন আজকে আমরা অতিরিক্ত লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
উপকারিতা
  1. অতিরিক্ত লেবু খেলে,লেবুতে থাকা ভিটামিন সি অ্যান্টি সেপটিকের কাজ করে থাকে এবং জর শদ্দি কাশি ঠান্ডা লাগা থেকে বাচায়।
  2. প্রতি দিন সকালে হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবু পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে ও লিভা ভলো রাখতে সাহায্য করে।
  3. শুকনো লেবুর খোসা গুরো করে পানিতে মিশিয়ে গোসল করলে শরীর ঠান্ডা ও মাথ্যা ব্যথা দূর করে.।
  4. লেবুর ভিটামিন সি দ্বারা ক্যান্সার কোষ গঠনে প্রতিরোধ করে।
  5. লেবুর রস ত্বকে দিলে ব্রন ভালো হয় এবং নতুন ভাবে ব্রন বারাতে বাধা পাপ্ত হয়।
  6. অতিরিক্ত লেবু খেলে আলসার ও বুকে জালা সারাতে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা মধ্য থেকে এত খন আমরা জানলাম যে অতিরিক্ত লেবু খেলে কি কি উপকার হয়। আর এখন আমরা জানবো যে অতিরিক্ত লেবু খেলে কি কি অপকারিতা হয়।
অপকারিতা
  1. অতিরিক্ত লেবু খাওয়া ফলে যাদের এসিডিটি আছে তাদের বুকে পিঠে জালাপোরা করতে পারে।
  2. কার্বোহাইড্রেট ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণের অভাব দেখাদেওয়ার পর অতিরিক্ত লেবু পানি খেলে সে ক্ষেত্রে শরীরের ক্লান্তি দেখা দেই।
  3. লেবু পানি বেশি পরিমানে খাওয়ার ফলে গ্যাস ও দেখা দেই ফলে পেট ফাঁপা লাগে।
  4. অতিরিক্ত লেবু খেলে আমাদের শরীরে পেট ও ব্যথা করতে পারে।
  5. অতিরিক্ত লেবুর পানি খেলে আসতে আসতে শরীর দুরবল মনে হবে।
উক্ত আলোচনা করে জানা যায় যে লেবু খাওয়ার যেমন উপকারিতা আছে তেমনই অপকারিতা আছে তাই নিয়ম অনুযায়ি খেতে হবে।

শেষ কথা

লেবু খাওয়ার যেমন উপকারিতা আছে তেমনই অপকারিতা ও আছে। আমি আপনাদের বলছি না যে আমি লেবু খাবো না, খাবো কিন্তু পরিমান অনুযায়ী যা আমাদের শরীরে উপকার করবে কোনো প্রকার ক্ষতি করবে না।যদি আমাদের এই পোস্টটি পরে কেউ উপকৃত হন বা যদি কারো ভালো লাগে তাহলে সবার মাঝে আমাদের এই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন আর আমাদের (ফাস্ট ব্লগার আইটি) ওয়েবসাইটি একটু সাপোর্ট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#