পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা-পুঁইশাক চাষ পদ্ধতি

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জেনে নেব।পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।পুঁইশাকে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন আমাদের ত্বকের রোগ জীবাণু দূর করে।পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার থাকে, যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধ করে।পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক।তো চলুন জেনে নিই পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা-পুঁইশাক চাষ পদ্ধতি।
চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, সেই সঙ্গে চুল মজবুত করে পুঁইশাক ।পুঁইশাকে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, শারীরিক বৃদ্ধিকে সাহায্য করে থাকে।পুঁই শাক আমাদের চারপাশে প্রচুর হয়।অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় আর ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।পুঁই শাকে এক ধরণের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান আছে।তো চলুন জেনে নিই পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা-পুঁইশাক চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে।

ভূমিকা

পুঁইশাক আমরা বিভিন্নভাবে রান্না করে খেতে পারি।পুঁই শাকের সঙ্গে মাছের তেল জাস্ট ফাটাফাটি।পুঁইশাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পুঁইশাক আমাদের সবারই পরিচিত শাক।পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণ আঁশ বা ফাইবার থাকে, যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধ করে।পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। পুঁইশাকে আছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান।পুঁইশাকে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে, শারীরিক বৃদ্ধিকে সাহায্য করে থাকে।পুঁই শাক আমাদের চারপাশে প্রচুর হয়।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় আর ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। পুঁই শাকে রয়েছে ভিটামিন এ যা আমাদের ত্বকের আর স্ক্যাল্পের তেল নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে।পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক কিছু। পুঁই শাক বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। পুঁইশাক একপ্রকার লতা জাতীয় উদ্ভিদ। পুইশাকে আছে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম আয়রনের মত উপাদানগুলো। 

পুঁইশাকে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এই সব খনিজ পদার্থ।অতিসার প্রভৃতিতে অন্যান্য উপদানের সঙ্গে পুঁই শাকের ব্যবহার আছে। পুঁই শাকের পাতার রস ছোটদের সর্দি, কোষ্ঠবদ্ধতা প্রভৃতিতে উপকার পাওয়া যায়।পুঁই শাকে রয়েছে ক্লোরোফিল পুঁই শাকে আছে ক্যান্সারের জন্য দায়ী কার্সিনোজেনিক প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে পারি।

পুঁইশাকের উপকারিতা

এবার জেনে নেব পুঁইশাকের উপকারিতা সম্পর্কে।পুঁই এক প্রকার লতা জাতীয় উদ্ভিদ। পুঁই গাছের পাতা ও ডাঁটি শাক হিসেবে খাওয়া হয় বলে সচরাচর একে পুঁই শাক সবজি।পুঁই শাক পুষ্টিকারক ও তৃপ্তিকারক করে থাকে। পুঁইশাকেথাকে ফাইবার যা ফাইবার পাকস্থলী আর কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।পটাসিয়ামের ভালো উৎস পুঁই শাকতাই নিয়মিত পুঁই শাক খেলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। পুঁই শাকে রয়েছে লিপোইক অ্যাসিড নামে এক ধরনের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় আর ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।

পুঁই শাক হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে তাই এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হতে দেয় না।পুঁইশাকের উপকারিতা অনেক।এছাড়া ইউরিনে ক্যালসিয়ামের মাত্রাও কম করে। তাই হাড়ের শক্তি বাড়াতে পুঁই শাক খান।ত্বকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হলে ব্রণ হয়। পুঁই শাক তা কমায় ফলে ব্রণ হওয়ার হারও কমে যেতে পারে। পুঁইশাক‌ গাছের পাতা ও ডাঁটি শাক হিসেবে খাওয়া হয় বলে। আমাদের সকলের কাছে জনপ্রিয় একটি শাক হচ্ছে পুঁই শাক।শিশুদের নিয়মিত পুইশাক খাওয়ালে তাদের বুদ্ধি ভালো হয়। শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যেমন ভিটামিন ,প্রোটিন বিভিন্ন ধরনের খনিজ এই পুঁইশাক থেকে পাওয়া যায়।

পুঁইশাকের অপকারিতা

এবার জেনে নেব পুঁইশাকের অপকারিতা সম্পর্কে।পুঁইশাক অক্সালেট সমৃদ্ধ একটি খাবার এটি গ্রহণ করলে শরীরে তরল পদার্থে অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়।পুইশাকে পিউরিন নামক উপাদান রয়েছে যা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।পুঁইশাকের এই অক্সালেট ও পুউরিন নামক পদার্থ গেঁটেবাত বা বাত ব্যথা রোগীদের জন্য মারাত্বক। এছাড়াও যাদের কিডনি রোগ রয়েছে তারা‌ খুব সাবধানতা ভাবে পুঁইশাক খাব।পুঁইশাকে ভরপুর মাত্রায় পাওয়া যায়। আপনি যদি না জেনেবুঝে ভরপুর মাত্রায় পুইশাক খেতে হবে।

তাই যাদের গেঁটেবাত বা গাটের সমস্যা রয়েছে তারা পুঁইশাক খাবেন না।পুই শাকের অক্সালেট পিত্ত রোগীদের জন্য ভালো নয়। এটি পিত্ত রোগীদের জন্য নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।অতিরিক্ত মাত্রায় পুইশাক খেতে খেতে একসময় এটি আপনার কিডনি সমস্যা, পীত্বথলির সমস্যা এবং ইউরিক এসিডের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। পুঁই শাক খাওয়ার ফলে শারীরিক নানা রকম সমস্যার পাশাপাশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। 

পুঁইশাক খেলে কি গ্যাস হয়


এবার জেনে নিব পুঁইশাক খেলে কি গ্যাস হয়। আমাদের অনেকেরই পুঁইশাক খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়।আমাদের বাঙালিদের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা একটি কমন সমস্যা । কিন্তু পুঁই শাক এই সমস্যা থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে।কোনো কারণে সঠিকভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন না হলে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়। পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দেহের বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে নির্গমনে সাহায্য করে। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’, যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে। প্রায় যত্ন ছাড়াই তরতর করে বেড়ে ওঠে পুঁইলতা। অল্প জায়গায় খুব দ্রুত বাড়ে এই শাক। এ কারণে আজকাল ফ্ল্যাট বাড়ির টবেও অনেকে পুঁইলতা লাগান। পুঁইশাক খেলে কি গ্যাস হয় তা জানলাম

পুঁইশাক চাষ পদ্ধতি

এবার আমরা জানবো পুঁইশাক কিভাবে চাষ করে। পুঁইশাক চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে পুঁইশাক আমরা যেভাবে চাষ করব।পুঁই শাকের চারা রোপণের জন্য সারি থেকে সারি ১ মিটার এবং প্রতি সারিতে ৫০ সেন্টি মিটার দূরে দূরে চারা রোপণ করতে হবে।চারার বয়স ১০-১২ দিন হলে ইউরিয়া সার প্রথম কিস্তি ৩০-৪০ দিন পর এবং প্রথমবার ফলন তোলার পর বাকি দুই কিস্তি এই মোট তিন কিস্তিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।জমির আগাছা পরিস্কারের পর ৫ থেকে ৬টি চাষ ও মই দিয়ে জমির মাটির উত্তমরূপে তৈরি করতে হবে।

পুঁইশাক চাষের ক্ষেত্রে দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ ও এঁটেল মাটিযুক্ত জমি বেছে নিতে হবে।সঠিক পদ্ধতিতে পুঁই শাক চাষ করলে অধিক লাভবান হওয়া যায়।বর্ষায় সাধারনত সেচ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। মাটিতে রস না থাকলে অবশ্যই সেচ দিতে হবে। পুঁই শাক চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা জানলাম।পুঁইশাকে পাতার বিটল বা ফ্লি বিটল ছাড়া আর কোনো পোকা তেমন ক্ষতি করে না। এই পোকা পুঁইশাকের পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করতে পারে।পুঁই শাক চাষ করার আগে চাষ ও মই দিয়ে জমির মাটি ভালোভাবে ঝুরঝুরে করে তৈরি করে নিতে হবে। চারা উৎপাদন করে লাগানো যায়। পুইশাকের চারা লাগানোর জন্য চারা থেকে চারা ২০ ইঞ্চি ।

পুঁইশাকের বিচির উপকারিতা

এবার আমরা জেনে নিই পুঁইশাকের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে।সবুজ এ পুঁইবিচিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড, আয়রন, জিঙ্ক এবং এন্টি এক্সিডেন্ট আছে।পুঁইশাকের মতো বিচির উপকারিতা ও অনেক।বিশেষ করে আঁশ জাতীয় এ বিচি পাইলস সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন 'বি, 'সি ও 'এ` পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং আয়রণ আছে।বহুবিধ রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে, অন্যদিকে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুঁইশাকের বিচি আমরা রোদে শুকিয়ে বিক্রি করলে টাকা পেতে পারি।
এবং পুইশাকের বিজি দিয়ে আমরা খুব সুন্দর রান্না করতে পারি। পুইশাকের বিচি রান্না করে খেতে অনেক সুস্বাদু পুই শাকের বিচিতে ও আছে অনেক ধরনের ভিটামিন। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এবং পুই শাকের বিচি দিয়ে আমরা আবার নতুন করে পুঁইশাক চাষ করতে পারি। তাই আমরা বলব পুঁইশাকের বিচির উপকারিতা অনেক।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমরা জানলাম পুই শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। পুই শাক আমাদের একটি পরিচিত শাক। এইটা একটি লতা জাতীয় উদ্ভিদ পুইশাকের আছে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো যদি আমাদের পোস্টে আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়ে আমাদের পাশে থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#