নিম পাতার ব্যবহার - উপকারিতা ও ক্ষতিকারক দিক

আমরা আজকে জানবো নিম পাতার ব্যবহার-উপকারিতা ও ক্ষতিকারক দিক। তো চলুন আজকে আমরা নিম পাতার ব্যবহার-উপকারিতা ও ক্ষতিকারক দিক গুলো জেনে আসি এবং আমাদের এই বিষয়টি জানার জন্য যারা সার্চ দিয়েছেন তারা অবশ্যই নিম পাতার ব্যবহার-উপকারিতা ও ক্ষতিকারক দিক এগুলো জানার জন্য পোস্টটি পুরোপুরি পড়তে হবে।
নিম পাতার ব্যবহার - উপকারিতা ও ক্ষতিকারক দিক
তো আর দেরি না করে চলুন জেনে আসি আমাদের সেই অবহেলিত গাছ নিম গাছের পাতা দিয়ে আমাদের কত কাজে লাগে আমরা জেনে অবাক হব যে নেই নিম গাছের পাতা আমাদের শরীরের জন্য চুলের জন্য এবং সবকিছু জন্য কত উপকারী একটি পাত্র চলুন আমরা দেরি না করে এই পোস্টটি পড়তেই থাকি

ভূমিকা

নিমপাতা যার বৈজ্ঞানিক নামAzadirachat indica। মিম একটি ঔষধি গাছ। নিম গাছের ডাল পাতা ছাল সবকিছুই ব্যবহার করা হয়। দৈনন্দিন জীবনে আমরা নিম গাছের পাতা বা ডাল ব্যবহার করি। নিমফল কাঁচা অবস্থায় দেখতে সবুজ এবং তিতা কিন্তু পাকলে হলুদ রঙের হয়ে থাকে এবং খেতে হয় মিষ্টি। নিমের পাতা দিয়ে বর্তমান সময়ে নিমপাতা দিয়ে বিভিন্ন প্রধাসনী তৈরি করা হচ্ছে। নিমের কাঠ এমন যে কাটে কোনো ঘুণ ধরে না।

নিম পাতার উপকারিতা

নিম গাছ থেকে ঔষধি গাছ নিম গাছের ডাল পাতা সবকিছু দিয়ে ওষুধ বানানো হয়। নিম পাতা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। চলুন আমরা এখন নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি  নিম পাতা ত্বকে ময়েশ্চার হিসেবে কাজ করে থাকে। নিম পাতা ত্বকের ব্রণ,কালো দাগ, চুলকানি দূর করে থাকে। আপনি যদি কাঁচা হলুদের সঙ্গে নিমপাতা দিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক ব্রণ মুক্ত ও কালো দাগ দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক টোন হবে। আপনি যদি প্রতি সপ্তাহে নিমপাতা বেটে চুলে লাগিয়ে দিতে পারেন।
তাহলে আপনার চুল হয়ে উঠবে দৃষ্টিনন্দন,নিমপাতা চুলে অনেক উপকার করে থাকে। চুল ঝরে যাওয়া বন্ধ করে থাকে ,নিম পাতা সিদ্ধ করা পানি দিয়ে মাথা মেসেজ করলে খুকশি দূর হয়ে যায়। শিশুদের কৃমির নির্মূল করতে নিম পাতার ভূমিকা অনেক। নিয়মের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করলে দাঁত দা সুস্থ থাকে, মজবুত থাকে এবং দন্ত রোগ হয় না। নিম পাতার মাধ্যমে অনেক রোগ দূর হয়েছে যেমন: ম্যালেরিয়া, আলসার,চর্মরোগ, চোখের রোগ, ডায়াবেটিস, খিদে কমে যাওয়া ইত্যাদি। তাহলে আমরা জানতে পারলাম নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। 

নিম পাতার বৈশিষ্ট্য

নিম গাছ যা একটা ঔষধিগুণ সম্পূর্ণ গাছ তবে আজ আমরা জানবো নিম পাতার বৈশিষ্ট্য। যা বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। নিম গাছের পাতার রং সবুজ হয়ে থাকে। নিমপাতা ২.৫-৪ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। নিমপাতা মূলত খাজ যুক্ত হয় এবং পাতার কিনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১০ থেকে ১৭ থেকে খাজ থাকে। নিম পাতার রস খেলে ডায়াবেটিস নিরাময় হয়। বিভিন্ন ধরনের ফোড়া রোগ ভালো হয়ে। নিম পাতায় থাকে আজাদিরাকটিন যা দাঁতের ব্যাকটেরিয়া রোধ করে থাকে। আমরা যদি নিম পাতা চিবিয়ে খাইতে পারি তাহলে আমাদের চোখের সমস্যা দূর হবে। নিম পাতার রস খেলে জ্বর ভালো হয়ে যায়। নিমপাতা আমাদের যৌবন ধরে রাখে সাহায্য করে। এছাড়াও নিম পাতার বৈশিষ্ট্য আরো অনেক রয়েছে যা এক জায়গায় বলেই শেষ হবে না।

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

আমরা সবাই নিম গাছের সাথে পরিচিত কিন্তু আমরা এটা কি জানি যে আমাদের গায়ে চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার কতটা ভূমিকা রেখেছে উপকারী একটি জিনিস। নিম গাছের পাতা ডাল ছাল খুব উপকারী। আমাদের কম বেশি সবারই মাথার ত্বকে চুলকানি হয়,এরকম চুলকানিতে আমরা নিমপাতা ব্যবহার করতে পারি। নিমপাতা বেটে সেটা যদি, আমরা মাথায় ব্যবহার করে থাকি তাহলে আমাদের মাথার ত্বকের চুলকানি দূর হয়ে যাবে, তার সাথে খুব খুকশি হয়ে যাবে এবং চুলের গোড়া শক্ত হবে। তাছাড়া এখন নিম পাতার তেলও পাওয়া যায় যেটা ব্যবহার করলে আমাদের মাথার ত্বকের চুলকানি বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে ও চুলকানি হয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে আমরা যদি নিম পাতার রস ব্যবহার করে থাকে তাহলে আমাদের শরীরের চুলকানির দূর হয়ে যায়। এভাবে চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
হয়ে থাকে এছাড়া এখন নিমপাতা যুক্ত অনেক লোশন ও বডি অয়েল পাওয়া যায় যেটার মাধ্যমেও আমাদের শরীরের চুলকানি দূর হয়ে যায়।

নিম পাতার ক্ষতিকারক দিক

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের নিমপাতা গ্রহণ করা উচিত। চলুন আজকে আমরা জেনে আসি নিম পাতার ক্ষতিকারক দিক গুলো , আমরা যদি অতিরিক্ত নিমপাতা খালি পেটে খেয়ে নেই তাহলে আমাদের উপকারের বিপরীতে ক্ষতি হয়ে যাবে।যদি আপনারা মাথা ব্যাথা হওয়ার কারণে নিম পাতার রস মাথায় ব্যবহার করে থাকেন তাহলে মাথা ব্যথা হয়ে গেলে নিম পাতার রস দেওয়া বন্ধ করুন। যারা গর্ভবতী বা যারা সন্তান নিতে চাচ্ছেন তাহলে নিমপাতা থেকে দূরে থাকবেন। 

কারণ নিম পাতা বন্ধ্যাত্ব বা গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। যে কোন অপারেশনের ১৪ দিন আগে থেকে আমরা নিম পাতা ব্যবহার করা বন্ধ করে দিব। আমরা দিনের সর্বোচ্চ দুইটি নিম পাতা খাবএর বেশি খাব না কারণ অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়ার কারণে আমাদের ক্ষতি হতে পারে। তাহলে আমরা জানতে পারলাম নিম পাতার যেমন রয়েছে উপকার তেমন নিম পাতার ক্ষতিকারক দিক ও রয়েছে । 

চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা

নিম পাতার রস আমরা চুলে ব্যবহার করলে আমাদের চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়,চুলের গোড়া শক্ত হয়। যেমন নিমপাতা অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি নিম পাতায় রয়েছে চুলের খাদ্য আমরা নিজেও জানিনা নিম পাতা চুলের জন্য কতটা ভূমিকা রেখেছে চলুন আমরা আজকে জেনে আসিচুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা নিম পাতার হেয়ার প্যাক আমরা বাড়িতে তৈরি করতে পারি এবং সেটা নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে আমাদের চুল ঘন হবে।

নিমপাতায় থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া অনেক উপকার করে থাকে। নিম পাতায় আছে ভিটামিন ই যা চুলের জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করে।খুশকির সমস্যা দূর করে। নিম পাতা শুকিয়ে সেটা গুড়ো করে নিয়ে সেইটা আমরা হেয়ার অয়েলের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারি তার মাধ্যমে আমাদের চুল ঘন ও শক্ত হয়। আমরা হেনা প্যাক এর সাথে নিম পাতার গুড়ো মিশিয়ে ৩০ মিনিট পর ধরে নিতে পারি এতে আমাদের চুল সিল্কি হয়ে যায়।
নিম পাতা চুলের জন্য খুব উপকারী। নিম পাতা ব্যবহারে আমাদের বৃদ্ধি হয় ও নরম হয়। নারিকেল তেলের সঙ্গে নিম ব্যবহার করলে আমাদের চুল অনেক মজবুত হয় তাহলে আমরা বুঝলাম চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা এবং কতটা চুলের পুষ্টি কাজে আসে। 

শেষ কথা

বন্ধুরা আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে নিম পাতার বিভিন্ন উপকারিতা দিক ও ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জানলাম। আরো জানলাম নিম পাতার কিভাবে ব্যবহার করতে হয় কিভাবে ব্যবহার করলে আমাদের উপকারিতা হবে। কিভাবে চুল ব্যবহার করতে হয় ,কিভাবে খেতে হয় ইত্যাদি। তো বন্ধুরা এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি মাঝে মাঝে ভিজিট করুন আমাদের পাশে থাকুন এবং শেয়ারের মাধ্যমে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের পাশে থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
#
#
#